গাঁথুনির করার সঠিক নিয়ম।
গাঁথুনির (ইটের)কাজ করার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা খুবই জরুরী।
১) ইট গাঁথার সময় প্রত্যেক বার সুতা এবং শল দেখে নিতে হবে গাঁথনী সোজা রাখতে হলে।
২) কাজ শুরুর আগে
ইট গুলোকে অন্তত: ৬ ঘন্টা
পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে
এবং ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত। ভেজা
ইটে গাঁথুনি ভাল হয় এবং
ফাঁটল ধরার সম্ভাবনা কম
থাকে। এছাড়া ভাল করে
না ভেজালে প্লাস্টারে সমস্যা
হতে পারে।
৩) অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভ করার
জন্য ইটের আকার আকৃতি
ঠিক থাকে না ফলে
ইট ব্যবহার করা ক্ষেত্রে অনেক
সময় দেখা যায়, গাঁথনী
সোজা হয় না গাঁথনীর
একপাশ মেলালে আরেক পাশ
মিলে না।
৪) গাঁথুনির সময় দেখতে হবে
দুটো ইটের মধ্যের ফাঁক
যেন ১ সেন্টিমিটার থেকে
বেশী না হয় এবং
জোড়ার উপর জোড়া যেন
অবিরাম না হয়।
৫) ইটের আকার ঠিক
না থাকার কারনে অনেক
বেশী মসলার ব্যবহার করতে
হয় গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে,
যায় ফলে সিমেন্ট বালুতে
অনেক বেশী টাকা ব্যয়
হয় ইটের ক্ষেত্রে টাকা
বাঁচাতে গিয়ে। ইটের অনেক
অপচয় হয় বেছে বেছে
তা ব্যবহার করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের
সময় বেশী লাগে, ফলে
মিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায়।
৬)ইট গাঁথুনির জন্য FM ১.৫ গ্রেডেড
বালি ব্যবহার করা উচিত।
৭) সেজন্য প্রথম শ্রেনীর
ইট এবং পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট
ব্যবহার করা উচিত।
৮) কোন ণির্দিষ্ট দ্দ্যেশ্য না থাকলে
ইংলিশ বন্ডে(নিয়মে) গাঁথুনী করা ভাল ।
৯) মিশ্রনে মসলার অনুপাত হবে
১.৫। ৫” গাথুনির জন্য।
১০) আধলার ব্যবহার এড়িয়ে
চলা ভাল যদি প্রয়োজন
না পড়ে।
১১) জোড়াগুলো ইটের সিলমোহর উপরে
রেখে মসলাদ্বারা পূর্ণ করা উচিত।
১২) জোড়ের পুরুত্ব ১.৩
মিমি এর বেশী যেন
না হয়।
১৩) জোড়াগুলোর মধ্যে যেন কোন
ফাঁক না থাকে,
প্রয়োজনে মশলা দ্বারা পূর্ণ
করে সমতল করা অত্যাবশ্যকীয়
।
১৪) ইটকে আস্তে আস্তে
সম্পূর্ণ বেডের উপর মশলা
বিছিয়ে চাপ দিয়ে বসানো
উচিত ফলে মশলার সাথে
ভাল ভাবে লেগে যায়।
১৫) একদিনে সর্বোচ্চ ১.৫ মিটারের বা ৩ ফিটের বেশী গাঁথুনী
করা উচিত নয়।
Leave a Reply
Want to join the discussion?Feel free to contribute!