সীমানা নির্ধারন
বাড়ি তৈরির কথা ভাবছেন ?
প্রথমেই জেনে নিন আপনার প্রিয় বাড়ি বানাতে কোথায় কি কি মাপ বা আয়তন প্রয়োজ হবে।
প্লিন্থ উচ্চতা ১৫০ মিমি বা ৬ ইঞ্চির কম হবে না।
লিভিং রুম বা ড্রয়িং রুম উচ্চতা ২.৭৫ মিটার এর কম হবে না।
আয়তন ৯.৫ বর্গমিটার এর কম হবে না।
কোনপাশের দৈর্ঘ্য ২.৪ মিটার এর কম হবে না।
রান্নাঘর উচ্চতা ২.৭৫ মিটার এর কম হবে না।
আয়তন ৫ বর্গমিটার এর কম হবে না।
কোনপাশের দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার এর কম হবে না।
টয়লেট মাঝের খালি উচ্চতা ২ মিটার এর কম হবে না।
সাইজ ১.৮ বর্গমিটার এর কম হবে না।
স্টোর রুম উচ্চতা ২.২ মিটার এর কম হবে না।
আয়তন ৩ বর্গমিটার এর কম হবে না।
গ্যারেজ উচ্চতা কমপক্ষে ২.৪ মিটার হতে হবে।
আয়তন কমপক্ষে ২.৫ মিটার X ৫ মিটার হতে হবে।
সিড়ি বাসার জন্য চওড়া ১ মিটার,
হলরুমের জন্য ১.৫ মিটার,
প্রতিষ্ঠানের জন্য ২ মিটার।
পাদানি বা ধাপের চওড়া কমপক্ষে ২৫০ মিমি একটা ধাপের উচ্চতা ১৫০ মিমি।
যেকোন জায়গাতে খাড়া খালি উচ্চতা (হেডরুম) ২.২ মিটার।
আলো-বাতাসের ব্যবস্থা আলো-বাতাসের প্রবেশের জন্য কমপক্ষে নিচের মত খোলা দেয়াল থাকতে হবেঃ
১। গরম আবহাওয়াতে মেঝের দশ ভাগের এক ভাগ পরিমাণ
২। ভেজা গরম আবহাওয়াতে মেঝের ছয় ভাগের এক ভাগ
৩। সাধারণ আবহাওয়াতে মেঝের আট ভাগের এক ভাগ
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।
ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।
ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।
লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-
- প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।
- বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।
- এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।
- একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।
- সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
- লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।
- পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।
- কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।
ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ
- ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।
- ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
- নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।
- ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।
ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ
১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন
২। নাইলনের সুতা
৩। পেরেক
৪। হাতুড়ি
৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি
৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি
৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ
৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)
৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
পাইলিং কি এবং কেন ?
অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :
(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,
(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,
(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,
(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,
(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,
(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,
(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।
ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।
ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা
খ) বোরিং করা
গ) খাচা বাধা
ঘ) ব্লক দেওয়া
ঙ) ওয়েল্ডিং করা
চ) খাচা ঢুকানো
ছ) ঢালায়
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
ক) রড বাইন্ডিং
খ) সাটারিং
গ) সল চেক
ঘ) ঢালায়
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
ক) সাটারিং
খ) রড বাইন্ডিং
গ) লেভেলিং
ঘ) বীম ও ছাদে রড
ঙ) আউট লাইন চেক
চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক
ছ) ঢালায়
জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া
১৬। সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
১৭। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
Toggle Title
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
১৮। জলছাদ
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
১৭। চিলাকুটার কলাম
ক) রড বাইন্ডিং
খ) সাটারিং
গ) সল চেক
ঘ) ঢালায়
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
ক) সাটারিং
খ) রড বাইন্ডিং
গ) লেভেলিং
ঘ) বীম ও ছাদে রড
ঙ) আউট লাইন চেক
ঙ) ঢালায়
চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া
১৯। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
২০। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
২০। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
২১। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
২৩। গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
<p>
<br />সীমানা নির্ধারন
১।সীমানা লে-আউট, রাজউক সেট ব্যাক চেক
<br /><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”><img class=” wp-image-611 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” alt=”” width=”312″ height=”214″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18193955_1287828754667918_1765660582556744034_n-300×206.jpg” /></span></span>সীমানা নির্ধারন যেকোন কাজ শুরু করার আগে কাজের একটি রূপরেখা বা লে-আউট তৈরী করা খুবই দরকার। তেমনি ভবন তৈরির আগেও ভবনের একটা লে-আউট দেয়া জরুরী। মূলত, ভবনের নকশাকে প্রকৃত মাপ জোকের মাধ্যমে জমিতে স্থানান্তর করাকে প্রকৌশলবিদ্যায় ভবনের লে-আউট দেয়া বোঝায়।<br />ভবনের নকশা, কাগজের উপর ছোট স্কেলে আকা থাকে।এখানে ডয়িং এর কাগজটিকে বাস্তব ভুমির ছোট সংষ্করণ বলা যেতে পারে। কাগজ়ে আকা নকশাটিকে প্রকৃত স্কেলে জমিতে চিহ্নিত করতে হয়, যাতে সহজেই প্রতিটি কলামের সঠিক অবস্থান, নির্মানাধীন ভবনের ওরিয়েন্টেশন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ভবনটি সীমানার ভিতরে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।<br />ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। কোন ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত A,B,C,…… ও 1,2,3,…… এই দুই ধরণের গ্রীডলাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো একে অপরের সমান্তরাল আবার 1,2,3…… গ্রীড লাইনগুলোও পরষ্পর পরষ্পরের সমান্তরাল হয়ে থাকে। কিন্তু A,B,C…… গ্রীড লাইনগুলো 1,2,3,…… গ্রীড লাইনের সাথে সমকোণ তৈরী করে। এই দুই ধরণের গ্রীড লাইনের ছেদ বিন্দুটিতে সাধারণতঃ কলাম বা দেয়ালের অবস্থান করে থাকে।<br />লে-আউট দেয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং থাকা উপরে বর্ণিত ঐ সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে বাস্তব মাপজোপের মাধ্যমে প্রকৃত জমিতে স্থানান্তর করা। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সেই কাজটি প্রকৌশলীরা করে থাকেন-</p>
<li>প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণতঃ পার্শ্ববতী কোনো ভবন বা রাস্তার মধ্যরেখা (centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দুরুত্বে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন গ্রীডলাইনগুলো (A,B,C……) কে ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রীডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>এরপর যেকোন একটি সুবিধামত গ্রীডলাইনের (1,2,3,……) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত করা হয়।</li>
<li>একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইন বসানো হয়।</li>
<li>সাময়িক বা অস্থায়ী খুটির বদলে কংক্রীটের খুটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে গ্রীডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।</li>
<li>লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চুড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। প্লিন্থ লেভেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মানের শেষ পর্যন্ত যেই স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।</li>
<li>পরষ্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম ও ফাউণ্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।</li>
<li>কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরষ্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ বারবার পরীক্ষা করতে হয় যাতে উক্ত গ্রীডলাইনগুলোর মাঝে ৯০ ডিগ্রি থাকে। কারণ আমরা জানি একটি পূর্ণাংগ বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি সবসময় সমান থাকে।</li>
<p><span class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়া ভবন নির্মানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আসলে গণিতের জ্যামিতি বিষয়ের একটি পরিপূর্ণ ব্যবহারিক ঘটনা। ভবনে লে-আউট দিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমনঃ</span></span></p>
<li>ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা কম হয়।</li>
<li>ভবন নির্মান কাজে ব্যবহৃত ফোরম্যান বা মিস্ত্রি সঠিক-সুন্দর ভাবে ও নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।</li>
<li>নির্মান কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পূনঃপরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়।</li>
<li>ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যেতে পারে।</li>
<p><span id=”fbPhotoSnowliftCaption” class=”fbPhotosPhotoCaption” data-ft=”{” data-mce-tabindex=”0″><span class=”hasCaption”>ভবনের লে-আউট দেয়ার জন্য আজ কাল টোটাল ষ্টেশনের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু ডিজিটাল সার্ভে কোম্পানী আছে যারা টোটাল ষ্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ইমারতের লে-আউট দিয়ে থাকে।তারপরও নিচে লে-আউট দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নাম দেয়া হলঃ<br />১। টোটাল ষ্টেশন বা লেভেল মেশিন<br />২। নাইলনের সুতা<br />৩। পেরেক<br />৪। হাতুড়ি<br />৫। অস্থায়ী বাঁশের খুটি<br />৬। স্থায়ী কঙ্ক্রীটের খুটি<br />৭। স্টীলের একটি বড় সমকোনী ত্রিভুজ<br />৮। স্টীল টেপ (১০০ ফুট)<br />৯। মাঝারি সাইজের প্লাম্ব বব বা ওলোন</span></span><br />
৩। মাটি কাটা
৪। পাইলিং
<br /><img class=”size-medium wp-image-612 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” alt=”” width=”300″ height=”150″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/08/18403751_1420613024628473_4676427661902197122_n-300×150.jpg” />পাইলিং কি এবং কেন ?অনেক ক্ষেএেই বিল্ডিং করতে গেলে আমরা পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং এবং কেনই বা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয় ? পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রেফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিওির বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে । চলুন দেখে নেই কেন এটি ব্যবহার করা হয় :<br />(ক) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে,<br />(খ) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায় সেজন্য,<br />(গ) ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে,<br />(ঘ) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে,<br />(ঙ) ভবনের লোড ঋণাত্বক স্কিন ঘর্ষণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাতে,<br />(চ) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে,<br />(ছ) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ট্রান্সমিশন টায়ার ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে ।<br />ভবন বা কাঠামো তৈরীর পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করিয়ে জেনে নিতে হবে ভবনের ফাউন্ডেশনে পাইলিং করার প্রয়োজন, না প্রয়োজন নেই ।ক) পাইল পয়েন্ট সেন্টার করা<br />খ) বোরিং করা<br />গ) খাচা বাধা<br />ঘ) ব্লক দেওয়া<br />ঙ) ওয়েল্ডিং করা<br />চ) খাচা ঢুকানো<br />ছ) ঢালায়<br />
৫। ড্রেসি, লেভেলিং, কম্পেকশন
৬। সোলিং, সিসি ঢালায়
সিঁড়ি তৈরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য
<br />অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিঁড়ি নির্মাণ সম্ভবত সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। আসলে তা নয়। সিঁড়ি বিল্ডিং এর এমন অংশ যা ফ্লোর বা ছাদ পরিবর্তনের মাধ্যম। ভবনের সিঁড়ি নির্মাণ সবচেয়ে ঝমেলাপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সিঁড়ি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হয়ছে। তবে শুরুতেই আসুন জেনে নেওয়া যাক সিঁড়ির বিভিন্ন অংশ কি কিঃ<strong>সিঁড়ির</strong> <strong>বিভিন্ন</strong> <strong>অংশ</strong><strong>-</strong></p>
<li>রাইজ</li>
<li>ল্যান্ডিং</li>
<li>ট্রেড<img class=” wp-image-851 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” alt=”” width=”429″ height=”257″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/ব-300×180.jpg” /></li>
<li>নোজিং</li>
<li>ফ্লাইট</li>
<li>হ্যান্ড রেইল</li>
<li>ওয়েন্ট স্ল্যাব</li>
<li>ল্যান্ডিং বীম</li>
<li>ফ্লোর বীম</li>
<li>নিউওয়েল পোস্ট</li>
<li>সেফটি</li>
<li>ওয়ান্ডার</li>
<li>কাটেইল স্টেপ</li>
<li>ফ্লায়ার</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রকারভেদ</strong><strong>-</strong></p>
<li>কংক্রিটের</li>
<li>কাঠের</li>
<li>স্টিলের</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong><strong> </strong><strong>অবস্থান</strong><strong>-</strong></p>
<li>বাড়ির ক্ষেত্রে সিঁড়ি এমন অবস্থানে হতে হবে যেন সবগুলো ঘর বা কক্ষ থেকে সহজে বের হওয়া যায়।</li>
<li>পাবলিক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি।</li>
<li>বাড়িতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।</li>
<li>পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে।</li>
<p><strong>সিঁড়ির</strong> <strong>প্রশস্ততা</strong><strong>-</strong></p>
<li>পিচ কোন সর্বনিম্ন ২৫০-সর্বোচ্চ ৪০০</li>
<li>ফ্লাইট দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩ স্টেপ থেকে ১২ স্টেপ পর্যন্ত হতে পারে</li>
<li>রাইজ ৬-৭ ইঞ্চি</li>
<li>ট্রেড ১০-১২ ইঞ্চি</li>
<p>
৭। সাটারিং রড বাধায় সহ পাইল ক্যাপ বা ফুটিং ঢালায়
৮। সাটারিং রড বাধায় সহ সট কলাম, ম্যাট ঢালায়
৯। সাটারিং রড বাধায় সহ অন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক ঢালায়
১০। মাটি, বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১১। লেভেলিং, সোলিং, সাটারিং রড বাধায় সহ গ্রেডবীম ঢালায়, কিউরিং
১২। বালি ভরাট ও কম্পেকশন
১৩। গ্রাউন ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৪। কলামে চট মোড়ানো, কিউরিং
প্লাস্টার করা
</p>
<li><u>প্লাস্টার করার পূর্বে আর.সি.সি</u><u> ওয়াল সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে। আর ব্রিকের</u><u><img class=”size-medium wp-image-734 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” sizes=”(max-width: 300px) 100vw, 300px” srcset=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg 300w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-768×433.jpg 768w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-845×480.jpg 845w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-705×397.jpg 705w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-450×254.jpg 450w, http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1.jpg 852w” alt=”” width=”300″ height=”169″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2017/10/1-300×169.jpg” /></u><u> সারফেস ভাল করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে ।</u></li>
<li>ইটের দেয়াল পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।</li>
<li>ইটের গাঁথুনির কাজ প্লাস্টারের জন্য সাধারনত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৬ ভাগ বালি এবং কংক্রিটের প্লাস্টারের জন্য সাধারণত ১ ভাগ সিমেন্ট ও ৪ ভাগ বালি মিশ্রিত করে মশলা বা মর্টার তৈরি করা হয়।</li>
<li>আর.সি.সির সারফেসে গ্রাউটিং দিতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার কখনও ৪ সুতা বা আধা ইঞ্চি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।</li>
<li>প্লাস্টার বেশি পুরু করতে হলে হালকা করে দুই বা তিন স্তরে প্লাস্টার লাগানো উচিত।</li>
<li>শুকনা দেয়ালে প্লাস্টার করলে তা ফেটে যায়।</li>
<li>অব্যশই থিকনেস ঠিক রাখতে হবে ।ব্রিক ওয়ালে ১” ও আর.সি.সি সারফেসে০.৭৫ ” থিকনেসে প্লাস্টার করতে হবে।</li>
<li>কোন অবস্থাতেই প্লাস্টারে শুকনা মসল্লা বা বুড়া মারা যাবে না।</li>
<li>এলুমিনিয়্যাম পাট্টা বা স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে প্লাস্টার সারফেস চেক করতে হবে।</li>
<li>প্লাস্টার করার ১৮ ঘন্টা পর থেকে নিয়মিত ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিন দিনে ৩-৪ বার পানি ছিটিয়ে কিউরিং করতে হবে।</li>
<p>
১৯। জলছাদ
<br />ক) ছাদ চিপিং<br />খ) পানি দিয়ে ধোয়া<br />গ) চুন ফোটানো<br />ঘ) চুন চালা<br />ঙ) খোয়া, সুরকি, চুন দিয়ে<br />শুকনা অবস্থায় কাটা<br />চ) রসুন, তেতুল, চিটাগুড়<br />মেশানো পানি দিয়ে<br />ভেজানো<br />ছ) কম পক্ষে সাতটা কাটা<br />দেওয়া<br />জ) ভাল ভাবে পচানো<br />ঝ) রেইন ওয়াটার পাইপের<br />দিকে ঢাল দিয়ে বিছানো<br />ঞ) ভাল ভাবে পিটানো<br />ট) হালোট দেওয়া<br />ঠ) সিমেন্ট ও চুন দিয়ে<br />তালের ব্রাস দিয়ে<br />ফিনিশিং দেওয়া<br />ড) খড়, কচুরী পানা চট দিয়ে<br />পানি দিয়ে ছাদ ঠান্ডা<br />রাখা<br />ঢ) প্যরাপেট গাথুনী ও প্লাষ্টার<br />
১৫। গ্রাউন ফ্লোর বীম ছাদ বা ফ্লাট ছাদ
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />চ) ইলেকট্রিক পাইপ চেক<br />ছ) ঢালায়<br />জ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
১৬। ফাস্ট টু সিক্স ফ্লোর কলাম ও লিফ্ট ওয়াল
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৭। চিলাকুটার কলাম
<br />ক) রড বাইন্ডিং<br />খ) সাটারিং<br />গ) সল চেক<br />ঘ) ঢালায়<br />
১৮। লিফ্টন মেশিন রুম অভার হেড পানি ট্যাংক
<br />ক) সাটারিং<br />খ) রড বাইন্ডিং<br />গ) লেভেলিং<br />ঘ) বীম ও ছাদে রড<br />ঙ) আউট লাইন চেক<br />ঙ) ঢালায়<br />চ) ছাদে পানি বেধে দেওয়া<br />
৪৬। স্যানিটারী ফিটিং ফিকসার লাগানো
৪৭। লিফ্ট, সাব ইস্টেশন, জেনারেটর ফিটিং
৪৮। ওয়াসা ইলেকট্রিক কানেকশন
৫০। ধোয়া পুছা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেন্ড ওভার দেওয়া
গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ
</p>
<li>গাঁথুনির দেয়াল নির্মাণ কাজ ফ্রেমড স্ট্রাকচারে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা ভার বহন কারী দেয়ালের ক্ষেত্রে। বীম-কলাম-স্ল্যাব বিল্ডিং এ ইটের দেয়াল পার্টিশন ওয়াল হিসাবে কাজ করে আর Load Bearing Wall এ ইটের দেয়াল বিল্ডিং এর ভার <img class=” wp-image-854 alignright” src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” alt=”” width=”344″ height=”194″ data-mce-src=”http://www.mistri.com.bd/wp-content/uploads/2018/10/mistri.com_.bd_-300×169.jpg” />বহন করে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই নিচের বিষয়গুলোর দিকে কঠোর মনোযোগ দিতে হবে যাতে রাজমিস্ত্রিরা এ ধরণের ভুলগুলো না করতে পারে-</li>
<li>ইটগুলো ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে তা মসলার পানি শোষণ না করে।</li>
<li>গাথুনীর লে- আউট দেওয়া।</li>
<li>দুই ইটের মধ্যে এবং চারপাশে মসলার পরিমাণ ২ থেকে ৩ সুতা এর চেয়ে বেশি হবে না। মনে রাখতে হবে মসলার চেয়ে ইট অনেক বেশি শক্ত। অতএব, দেয়ালে মসলার চেয়ে ইটের সংখ্যা যত বেশি হবে দেয়াল তত শক্তিশালী হবে।</li>
<li>একবারে সাড়ে ৪ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়। কারণ, ইট যত বেশি হবে তত নিচের ইটগুলোর উপর চাপ বাড়বে এবং উপরের ইট গুলোর ওজনে নিচের জয়েন্ট গুলোর মসলা থেকে পানি বেরিয়ে যাবে ও জোড়াগুলো দূর্বল করে দেবে।</li>
<li>ইটের মার্কা উপরের দিকে থাকবে।</li>
<li>দেয়াল যেন নিচে এবং উপরে এক সমান্তরালে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</li>
<li>দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।</li>
<p>
[/av_toggle]
[/av_toggle_container]