খোয়া ও পাথর
ছোট ছোট পাথরের টুকরো অথবা ঝামা ইটের টুকরো কংক্রিটে আয়তন ও শক্তি দেয়। বাড়ী তৈরী করার সময় এর আকার সাধারণত: দু-রকমের হয়। পোনে এক ইঞ্চি অথবা এক সাথে দুটোকে মিশিয়ে দেয়া হয়। সাধারণত: ৬০:৪০ থেকে ৭০:৩০ এর অনুপাতে। এগুলোকে বলা হয় কোর্স এগ্রিগেট।
কোর্স এগ্রিগেট বাছাই:
- এগুলো ঘনাকার এবং ধুলা মাটি ছাড়া হওয়া উচিত।
- এগুলো বিভিন্ন আকারের হওয়া উচিত। ছোট বড় এগ্রিগেটের সঠিক মিশ্রণ থাকা উচিত।
- বড় আকারে এগ্রিগেডের মাঝের খালি জায়গায় ছোট ছোট এগ্রিগেট, ছোট ছোট এগ্রিডেটের খালি জায়গা বালু দিয়ে ভরতে হয়, এতে কংক্রিট ঘন ও মজবুত হয়।
- একই আকারের এগ্রিগেড ব্যবহার করা ঠিক নয় কারণ সমান আকারের জোড়-গুলোতে খালি জায়গা অনেক বেশী থাকে তাই এতে মোট ওজন কম হয়ে যায়।
- ঢালাইয়ের পূর্বে এগ্রিগেট ভিজিয়ে নেয় উচিত।
খোয়া নির্মাণ কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কংক্রিট তৈরির কাজে ব্যবহ্রত হয়। তবে প্রথম শ্রেণীর ইট ভেঙ্গেই খোয়া তৈরি করা উচিৎ। খোয়ার আকৃতি বা সাইজ সাধারণত ৩/৪ ইঞ্চির বেশি এবং ১/৪ ইঞ্চির কম হওয়া উচিৎ নয়।
খোয়া তৈরির পXতির উপর নির্ভর করে খোয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
- হাতে ভাঙ্গা
- মেশিনে ভাঙ্গা
হাতে ভাঙ্গা
এ ধরনের খোয়া খুব ভাল আকৃতির হয়ে থাকে এবং এতে সুরকির পরিমাণ কম থাকে অবশ্য এই পXতিতে খোয়া তৈরিতে অধিক সময় লাগে।
মেশিনে ভাঙ্গা
এ ধরনের খোয়া বড়, ছোট হয়ে থাকে এবং সুরকির পরিমাণও বেশি হয়ে থাকে, তবে এ পXতিতে তাড়াতাড়ি খোয়া তৈরি করা যায়।
খোয়া ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতা
ইট ভেঙ্গে খোয়া করার পর খোয়া ভালভাবে চালতে হবে যেন সুরকি না থকে এবং মিক্সার বানানোর আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে খোয়ার মধ্যকার ক্ষতিকর উপাদানসমূহ দূর হয়ে যায়।
ভেজানোর প্রয়োজনীয়তা
- খোয়া ভেজানো না হলে তা কিছু পানি শোষণ করে যা সিমেন্ট পানির অনুপাত (ড/ঈ) নষ্ট করে।
- খোয়া ভেজানো না হলে মিক্সার ভালো হয় না।
- ইটের মধ্যে ক্ষতিকর পদার্থ যেমন অপরফ, অষশধষর, লবণ থাকলে তা বের হয়ে যায়।