গিজার কেনার সময় নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার জন্য আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

Key Insights

•  বিদ্যুৎ শক থেকে সুরক্ষা: গিজার ব্যবহারের সময় শক খাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ থাকে। নিরাপদ গিজার নির্বাচন জরুরি।
•  থার্মোস্ট্যাটের গুরুত্ব: থার্মোস্ট্যাটটি গিজারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে, যা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
•  অটো কাটঅফ সিস্টেম: এই ফিচারটি গিজারকে নিরাপদ রাখে, যাতে অতিরিক্ত গরম হওয়ার সময় এটি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়।
•  ড্রাই হিটিং প্রতিরোধ: পানির অভাবে গিজার চালু হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ড্রাই হিটিং প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
•  এনার্জি সেভিং: উচ্চ স্টার রেটিং গিজারগুলি বেশি এনার্জি সেভ করে, যা বিল কমাতে সাহায্য করে।
•  ব্র্যান্ডেড পণ্য নির্বাচন: সার্টিফাইড ব্র্যান্ডের গিজার কেনা নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য ভালো।
•  সার্ভিস সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা: গিজারটির স্থানীয় সার্ভিস সেন্টার থাকা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পরবর্তী সময়ে সমস্যার সমাধান সহজ হয়।
• বি,এস,টি,আই অনুমোদনের গুরুত্ব: বিএসটিআই অনুমোদিত গিজার নিরাপত্তা ও মানের নিশ্চয়তা দেয়, তাই তা বেছে নেওয়া উচিত ।  

যে গিজার কেনার পরে এটা দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে যেহেতু পানি গরম হবে তাহলে ইলেকট্রিক শক খাবো কিনা এই শকের কারণে আমাদের করুন পরিণতি হতে পারে কিনা সেই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকে আমরা কনফিউজ থাকি ।

তাহলে আমাদের কি করতে হবে যে ভালো মানের থার্মোস্ট এবং প্রেসার রিলিফ ভাল্বটা আছে কিনা এটা চেক করতে হবে ।

ওভার হিটিং ড্রাই হিটিং এর ফিচার গুলো থাকতে হবে এবং অটো কাটঅফ সিস্টেম থাকতে হবে । এমন একটা ব্রান্ডের গিজার কিনলেন যেটা সার্ভিস সেন্টার আপনার এলাকায় কেন আপনার দেশের মধ্যেই নাই তাহলে কিন্তু হবে না ।

আমি এমনও পাইছি যে আমাদের গিজার গুলা বি,এস,টি,আই অনুমোদিত হয় এমনও আছে গিজার যে বি,এস,টি,আই অনুমোদিত না তো এরকম গিজার গুলো আপনি কেনা থেকে বিরত থাকবেন ।

এখন হচ্ছে শীতকাল এবং এই শীতকালে সবাই চিন্তা করতেছে যে আমাদের গোসল করার গরম পানির জন্য আমরা একটা গিজার কিনব তো এই গিজারটা কেনার সময় পাঁচটা বিষয়ের উপরে আপনাকে একটা সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে তাহলে কিন্তু আপনি একটা ভালো মানের গিজার কিনতে পারবেন কারণ এই গিজার নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভয় আছে যে গিজার কেনার পরে এটা দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে যেহেতুপানি গরম হবে তাহলে ইলেকট্রিক শখ খাবো কিনা এই শখের কারণে আমাদের করুন পরিণতি হতে পারে কিনা ।

আমরা দুই ধরনের গিজার পাই যেটাকে প্রথমটা বলি হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট গিজার বা অনেক সময় আমরা বলি ইনস্ট্যান্টওয়াটার হিটার যেটা ছোট আকারে থাকে এরকম ইনস্ট্যান্ট যে সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক দ্রুতর সঙ্গে যদি পানি গরম করার প্রয়োজন পড়ে ।

তাহলে আমরা এই ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার গুলো আমরা বা গিজার গুলো কিনতে পারি এবং যদি আপনার ফ্যামিলি বড় হয় সেই ক্ষেত্রে স্টোরেজ যে গিজার গুলো আছে এরকম পানি স্টোর করা থাকে বিভিন্ন লেটারের সেই স্টোরেজ গিজার গুলো আমরা কিনতে পারি তা যদি আপনার একাধিক ব্যক্তি হয় বা বড় ফ্যামিলি হয় তাহলে কিন্তু ইনস্ট্যান্ট গিজার কিন্তু আপনার চলবে না আপনাকে কি করতে হবে স্টোরেজ গিজার কিনতে হবে।

 দ্বিতীয়ত হচ্ছে যদি আপনার ফ্যামিলিটা ছোটহয় ধরেন যে আপনার ফ্যামিলিতে ছোট একজন ব্যবহার করতেছেন বা দুইজন ব্যবহার করতেছেন এরকম হয় তাহলে কিন্তু আপনি ছয় থেকে ১০ লিটারের গিজার আপনি কিনতে পারেন আর যদি আপনার ফ্যামিলি বড় হয় তাহলে ১৫ থেকে ৪৫ লিটারের গিজার আপনি কিনতে পারেন ।

ঠিক আছে কারণ আমাদের যদি ফ্যামিলি বড় হয় তাহলে বেশি পানির প্রয়োজন পড়বে সেই ক্ষেত্রে আমাদের বড় স্ট্রেজ ওয়ালা গিজার কিনতে হবে আর তিন নাম্বার বিষয় হচ্ছে গিজার যেহেতু আমাদের বিদ্যুৎ দিয়ে চলে তাহলে বিদ্যুৎ বিলের একটা চিন্তা আছে তো এই বিদ্যুৎ বিলটা যাতে কম করানো যায় কমানো যায় সেই ক্ষেত্রেআপনাকে কি করতে হবে গিজার কেনার সময় অবশ্যই তার স্টার রেটিংটা দেখতে হবে ।

যেমন এখানে দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে ফাইভ স্টার রেটিং এর পাঁচটা স্টার আছে ফাইভ স্টার রেটিং এর গিজার আর এটা হচ্ছে থ্রি স্টার রেটিং এর গিজার তা যেটাতে যে এই গিজারে স্টার রেটিং বেশি হবে অর্থাৎ যদি আপনার ফাইভ স্টার হয় তাহলে অনেক এনার্জি সেভ করবে অর্থাৎ পাওয়ার সেভ করবে আর যদি আপনার থ্রি স্টার হয় তাহলে কিন্তু আপনার এনার্জি সেভিংটা কম হবে আর অনেক।

 গিজার পাবেন যে সেখানে কোন স্টার রেটিং এ নাই সেই স্টার রেটিং ছাড়া যে গিজার গুলো আছে সেই গিজার গুলো হচ্ছে আমাদের বিউরো অফএনার্জি ইফিসিয়েন্সি যে স্টার রেটিং আছে এটা সার্টিফাইড না ।

অবশ্যই স্টার যে রেটিং আছে সেই স্টার রেটিং ওয়ালা গিজার গুলো আপনারা কিনবেন

যে চার নাম্বার যে টিপস আছে সেই টিপসটার মধ্যে অবশ্যই দেখতে হবে যে আমাদের গিজারের মধ্যে কি কি ফিচার আছে ফিচার গুলো খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা হচ্ছে অটো কাট অফ সিস্টেম অটো কাটঅফ সিস্টেমটা কি আমি একটু বলি এক্সপ্লেইন করি যে আপনি গিজারে অন করছেন অর্থাৎ সুইচ অন করছেন গিজার চালু হইছে চালু হলে কি হবে হিট হবে পানিটা হিট হবে এই হিটটা একসময় যেয়ে অটোমেটিক বন্ধ হবে যেমন আপনার যখন ইলেকট্রিক স্ত্রী বাযেটাকে আমরা ইলেকট্রিক ক্যালেন্ডার বলি সেখানে যখন করেন কখনো অন হয় কখনো অফ হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টেম্পারেচারে গেলে কি হয় পাওয়ারটা অফ হয়ে যায় এই অটো কাট অপশনটা আপনার গিজারে থাকতে হবে ।

দ্বিতীয়ত হচ্ছে ওভার হিটিং অতিরিক্ত হিটিং এবং ড্রাই হিটিং ড্রাই হিটিংটা হচ্ছে গিজারে আপনার পানি নাই কিন্তু তারপরে আপনি সুইচ অন করছেন তখন যেন হিটিং না হয় ড্রাই হিটিং হলে কি অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে পুড়ে যেতে পারে তো এই ড্রাই হিটিং অপশনটা আপনার থাকতে হবে যে ড্রাই থাকলে অর্থাৎ গীজারের ভেতরে যদি পানি না থাকে তাহলে যেন কোন প্রকারে হিটিং না হয় ।

তিন নাম্বার যেটা আছে ভালো মানের এই থার্মোস্টে যেটা দিয়ে আমাদের কি হিটটাকে টেম্পারেচারটাকে আমরা কন্ট্রোল করি এটা ভালো মানের থার্মোস্টেট থাকতে হবে এবং প্রেসার রিলিফ ভাল্ব যে আমরা একটা ভাল্ব ব্যবহার করি এই ভাল্বটা থাকতে হবে এই ফিচার গুলো থাকলে আপনার গিজারটা অনেকটা সেফ থাকবে এছাড়াও ইনস্টলেশনের কিছু প্রসেস আছে যেমন হচ্ছে আপনার কেবল সাইজ সার্কিট ব্রেকার এবং আর্থিং এই তিনটা জিনিস ঠিক রাখতে হবে ।

যে ভালো মানের থার্মোস্ট এবং প্রেসার রিলিফ ভাল্বটা আছে কিনা এটা চেক করতে হবে ওভার হিটিং ড্রাই হিটিং এর ফিচার গুলো থাকতে হবে এবং অটো কাটঅফ সিস্টেম থাকতে হবে যদি অটো কাটঅফ সিস্টেম না থাকে বা ড্রাই হিটিং এর ফিচারটা না থাকে তাহলে কিন্তু আপনার সেই গিজারটা খুব ভালো মানের হবে না ।

 সর্বশেষ যেই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন সেটা হচ্ছে যে আপনি যে গিজারটা কিনতেছেন আপনার বাজেটের মধ্যে ব্রান্ডেড গিজার কেনার চেষ্টা করবেন কারণ ব্রান্ডেড গিজার গুলো অনেক সার্টিফিকেশন থাকে এবং অনেক টেস্ট করে তখন বাজারে ছাড়া হয় এজন্য একটু দাম বেশি পড়লেও আপনার বাজারেরমধ্যে ব্রান্ডেড গুলো কেনার চেষ্টা করবেন ।

আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে যেইটা কিনতেছেন সেটা সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা এমন একটা ব্রান্ডের গিজার কিনলেন যেটা সার্ভিস সেন্টার আপনার এলাকায় কেন আপনার দেশের মধ্যেই নাই তাহলে কিন্তু হবে না।

সর্বশেষ একটি কথা আমি বলি যে নিজে ভালো থাকবেন অপরকে ভালো রাখবেন ধন্যবাদ।